Sunday 28 June 2020

DARK...SEASON 3...no spoilers review.....

    কারোর একটা জিনিস ভালোলাগে তো কারোর সেই জিনিসটা ভালোলাগেনা। প্রত্যেকের নিজের ভঙ্গি থাকে। ডার্ক এর প্রথম দুটো সিজন এর ক্লাস নিয়ে কারোর দ্বিমত পোষন হবেনা এটা জানি। যেরম রহস্যময় সেরকম বিল্ড আপ আর সাসপেন্স ভর্তি। 
     প্রথম দুটো সিজনে মাথা খারাপ সকলের কম বেশি হয়েছে কিন্তু প্রত্যেকেই মোটামুটি মাথায় চাপ দিয়ে লিঙ্ক করিয়ে নিয়েছে ইভেন্টগুলি। আর সিজন ২ এর শেষটা হয় অল্টারনেটিভ/প্যারালাল ওয়ার্ল্ডের উপস্থাপনা করে।
   Sci-fi,time travel এর উপর এই সিরিজটা যেরকম বিল্ড আপ করেছে তার ফলে ফাইনাল সিজনের জন্য সবাই এক্সাইটেড ছিলো । এইবার আমার মনে হয়েছে যেহেতু দুটো সিজনে একাধিক টাইম ট্রাভেল আর ইন্টার ফ্যামিলি রিলেশনশিপ এর জন্য  মাথা যেমন টুইস্ট হ‌ওয়ার কারনে অডিয়েন্স মজা পায় আর যেকারনে ডার্ক হাইপ পাই সেটাকেও ফাইনাল সিজনে ধরার চেষ্টা করেছে প্রডাকশন। যেকারনে মাইন্ড টুইস্ট করার জন্য একের পর এক, হঠাৎ হঠাৎ যে কোনো অল্টারনেটিভ ওয়ার্ল্ডে টাইম ট্রাভেল দেখানো হয়েছে যেটা অডিয়েন্সকে কনফিউজ করবে আর মাইন্ড টুইস্ট করবে কিন্তু এইবার ব্যাপারটা এতটাই কমপ্লিকেটেড হয়েছে যে লিঙ্ক ধরা প্রায় অসম্ভব এবং অনেকগুলো আননেসেসারি। ঘটনার ধরন দেখানোর জন্য অল্টারনেটিভ ওয়ার্ল্ডের পার্টিকুলার কিছু টাইমকে নেওয়া যেতে পারতো। অডিয়েন্স অলরেডি টুইস্টেড সেখানে অন্যরকম ভালো কিছুর অপেক্ষায় ছিলো আর এখানে প্রডাকশন এক‌ই ধরন অল্টারনেটিভ ওয়ার্ল্ডেও দেখিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করেছে যার ফলে প্রতিটা এপিসোডে কিছুটা করে এক ঘেঁয়ে আর বোরিং হয়ে গেছে। 
        প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো এটা প্লানিং যে স্লো একটু শুরু করবে কারন অডিয়েন্স অলরেডি অনেক এক্সপেক্টেশন নিয়ে রেখেছে সেখেত্রে স্লো শুরু করে আবার পিক-আপ করলে ভালো লাগবে কিন্তু যেখানে ফাইনাল সিজন আর যতো ফাইনাল এপিসোডের দিকে এগোতে থাকলো ততোই লিঙ্ক করা আর সমাধান না দেখিয়ে আরো জটিল থেকে জটিল করে গেলো। আমার বিশ্বাস অনেকেই কয়েকটা এপিসোড দেখতে হয় তাই দেখেছে। প্রথম এপিসোড বোরিং আর একঘেয়েমি ভরা। দ্বিতীয় এপিসোড‌ও আহামরি লাগেনি তবে ৩,৬,৭ এপিসোডের এন্ডিং বেশ ভালো। 
       অডিয়েন্স টাইম ট্রাভেল আর টুইস্টিং দেখে ফিদা হয়ে গেছে, এক‌ই ভাবে আবারো করবে ভেবে অল্টারনেটিভ রিয়েলিটি এনে আরো জটিল সম্পর্ক দেখালেই হয়না, স্টোরিও লাগে। এক‌ই ধরন কন্টিনিউ করে গেলে ব্যাপারটা লেবু বেশি টিপলে যেমন হয় এটাও সেরকম হয়েছে। 
     বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেলোনা, অনেক চরিত্র জাস্টিফায়েড হলোনা। Helga Doppler কে প্রথম থেকে অতো সাসপেন্সফুল আর ইন্টেরেস্টিং দেখিয়ে বোকাবোকা বানিয়ে দিলো। Charlotte এর ব্যাপারটাও সেরকম। মনে হলো জাস্ট কিছু ইনসিডেন্ট দেখানো হলো যার কোনো কারন বা ব্যাখ্যা হয়না। 
     Adam এর মুখ্য উদ্দেশ্য কি ছিলো? শেষে পাল্টেই বা গেলো কেনো? Magnus এর মতো চরিত্রর জাস্টিফিকেশন কি?  কেবল ইন্টার ফ্যামিলি রিলেশন আর এর ওর সাথে জটিল সম্পর্ক দেখানোর পর কোনো জাস্টিফিকেশন নেই! 
       Ulrich Nielson এর চরিত্রের যথার্থতা কেবল সার্কেল কমপ্লিট করা ? 
   শেষ অবধি না আছে কোনো স্পষ্ট উত্তর না আছে ম্যাসেজ কেবল আছে  একাধিক ধাঁধা যার উত্তর এড়িয়ে গেলো।
   অডিয়েন্স যেখানে ওয়েট করছে একটা স্যাটিফাইং এন্ডিং এর জন্য সেখানে শেষ ১৫ মিনিটে হঠাৎ সমাধান হয়ে গেলো? ইভেন্ট গুলো পরপর ঘটানোর চেষ্টা না করে ডাইরেক্ট Tanhhaus এর ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা প্রথমে করলো না কেনো Caludia?  কেবল সবাই যাতে ঠিক টাইমে ঠিক জায়গায় থাকে, ঠিক ঘটনা ঘটে সেইসব করে গেলো সেই দুই রিয়েলিটিতে যেটা এক্সিস্ট‌ই করেনা? আর শেষে হঠাৎ করে সমাধান পেয়ে গেলো ? Claudia  নিজে গিয়ে বাঁচালোনা কেনো ? কেনো Adam কে বলার পর Adam  না বাঁচাতে গিয়ে ইয়ং Jonas কে পাঠালো। Adam লিডার‌ই বা হলো কীভাবে? কীভাবে Charlotte এর মেয়ে post apocalypse লিডার হলো?
   ক্ল‌ওডিয়ার অল্টারনেটিভ রিয়েলিটি থেকে এসে ওল্ডার ক্ল‌ওডিয়াকে ডায়েরি দিয়ে গেলো আর সেই রিয়েলিটি থেকে কেও ক্ল‌ওডিয়াকে আসার জন্য আটকালো না? 
   কেবল যখন তখন Jonas আর Martha কে মেরে টেনশন তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে আর সেটা ভেস্তে গেছে অল্টারনেটিভ Martha,Jonas  সেই জায়গা নিয়ে নেওয়ায়।
       Apocalypse এর এতো কাছে থাকা মানুষজন বাঁচলো কিভাবে! যারা মরলো তারা কিভাবে মরলো? 
    Neds Neilson কে মারার কারন কী? কেনোই বা ওই বাঙ্কারের প্রয়োজন? কেনো প্রতিবার কোনো চরিত্র ঘুম থেকে উঠছে স্বপ্ন দেখে যা একরম?  
    আলো আধাঁরির খেলা এই সিজনেও ভালো ছিলো, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক আগের সিজন গুলোতে বেটার মনে হয়েছে। ডিরেকশন‌ও ভালো তবে আমার মনে হয়েছে প্রডাকশন মাইন্ড টুইস্ট খেলা খেলতে গিয়ে এমন ছড়িয়েছে যে শেষে লিঙ্ক করানোর কথা ভাবেনি এবং করেওনি। ইন্টিমেট সিনের খেত্রে যেগুলো আগের দুটো সিজনে করেনি সেগুলো এই সিজনে করা হয়েছে যা না হলেও কোনো ব্যাপার ছিলোনা যদিও নেটফ্লিক্সের এটা সিগনেচার নেচার।
     Jonas  এর চরিত্রের সব একপ্রেশন এক‌ই লেগেছে। তবে Hannah এর চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন তিনি সত্যিই অনবদ্য ।
      আর রয়েছে কিছু হেঁয়ালি কথা "Beginning is the end and end is the beginning" এই টাইপের প্রত্যেকটা কথা শেষমেষ মিনিংলেস হয়ে গেছে।  এটা হতোনা যদি Ending টা Beginning  এর মতো হতো।
     শেষের বাড়িতে ৬ জনকে দেখানো হলো ঠিক তাদের‌ই যারা অল্টারনেটিভ রিয়েলিটিতে মারা গেছে, কেনো? বাড়িটা কার ? Claudia দের? Jonas এর বাবা তাহলে আসল রিয়েলিটিতে Mikkel নয়?
    শেষে একবারো মনে হয়নি Best ever ending in the history of series বরং GOT  এর এন্ডিং এর মতোই বলা যায়। ডার্কের হার্ডকোর ফ্যান হিসেবে ভীষনই আপসেট। এখনো Breaking Bad এর দখলেই Best ever ending in the history of series এওর্ডটা রেখে দেবো।
   তবে Martha এবং Jonas কে ভালোবাসার উদাহরণস্বরুপ বলা যেতে পারে এই কারনেই যে রিয়েলিটিই হোকনা কেনো দুজন দুজনকে ভালোবেসে গেছে-"Don't believe anything else."
       এর পরেও যদি কেও বলে ভীষন ভালো তাহলে তারকাছে আমার কিছু প্রশ্ন থাকবে যেগুলো আমার কাছে ক্লিয়ার নয় আর কিছুর উত্তর পাইনি।

Saturday 13 June 2020

Gulabo Sitabo...

    দেখবেন প্রবচন আছে যে যখন কিছু শুরু করবেন ধামাকা দিয়ে করুন, ধামাকাটা অনেক দূরে গিয়ে ঠেকবে। 
ঠিক এমনটাই হয়েছে Gulabo Sitabo সিনেমায়। 
    গল্প কি তা বলে স্পয়লার দেওয়া আমার অনুচিত। তবে যে বিষয়গুলো নিয়ে বলা যায় সেগুলি বলছি।
   কাস্টিং ডিরেক্টর একটা স্টান্ডিং ওভিয়েশন ডিসার্ভ করেন। 
   সকলের অভিনয় দূর্দান্ত যদিও বিজয় রাজ এর অভিনয় আগের কয়েকটা সিনেমার মতো এক‌ই ধরনের লেগেছে। কিছুটা আপসেট ওনার থেকে। অমিতাভজি যেরকম অভিনয় করেছেন এই সিনেমায় তার বিশ্লেষন করার যোগ্যতা আমার নেই। আয়ুষমান আবারো প্রমান করলো ওর সিনেমা মানেই চিরাচরিত সিনেমার বাইরে গিয়ে অন্য টেস্ট। সাইড রোলের সবাই বেশ ভালো অভিনয় করেছে সে বাচ্চা বোন হোক বা বড়ো বোন। উঠতি যাবানি, বাস্তববাদী হয়ে কাজ আদায় করে নেওয়া আর শিক্ষায় মোড়া দৃঢ়চেতা বোনের চরিত্র পারফেক্ট ফুটিয়ে তুলেছে মেয়েটি। বেগমজান তো আমার মনটাই কেড়ে নিয়েছেন। চাকরের চরিত্রের বোবা লোকটিও নিজস্ব কেলমা দেখিয়েছে অল্প স্ক্রিনিংএ। 
   সুজিত সরকারের সিনেমাগুলোই অন্যরকমের, ভালো বা খারাপ প্রত্যেকটা এপ্রিশিয়েট করা যায় এবং ডিরেকশন এই সিনেমায় অনবদ্য।
   গল্প শুরুর প্রথম ৩০ মিনিট খুব মজার লাগবে কিন্তু তারপর থেকে বেশ স্লো কিন্তু সেটি ওভারলুকড হবে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক আর ডিরেকশনের জন্য। দর্শক আইডিয়া করতে পারবে কি হতে পারে, কিছুটা ঠিক অনুমন‌ও করবে কিন্তু পুরোটা পারবেনা আর এখানেই সিনেমার টুইস্ট। গল্প আমার আহামরি লাগেনি তবে যেরম টুইস্ট দেখানো হয়েছে সেরম আর কোনো সিনেমায় দেখাইনি, কেও ভাবতেও পারবেনা। পুরো অন্যরকম। বাংলা গদ্যে এরম একটা গল্প ছিলো যদিও অনেকটাই সেটা আলাদা। নামটা এখন মনে পরছেনা। 
সিনেমার ম্যাসেজ পরিস্কার। তবে মাঝের কিছুটা সময় শুরুর মতো মজা ব্যাপারটা ছিলোনা, বেশ মেকানিক্যাল লাগছিলো। 
    এটি একটি সফল স্যাটায়ার, কিছুটা স্যাডিসটিক‌ও। রিসেন্ট টাইমে এরম স্যাটায়ার হিন্দি সিনেমায় এতো ভালো ভাবে আর হয়নি প্রবাবলি। 
   

Wednesday 13 May 2020

Ad Astra...

আর কারোর কি কখনো মনে হয়েছে যে ব্র্যাড পিটের চোখ সবসময় দুঃখময়, একটা মায়া জড়ানো ব্যাপার রয়েছে। সেটা একশন মুভি হোক কিংবা কমেডি বা সাইন্স-থ্রিলার।
     এড-এস্ট্রা কমপ্লিট মুভি নয়, স্পেসের সুন্দর ছবি দেখানো বাদে ২ ঘন্টার সিনেমায় গল্প বা অভিনয় দেখানোর মতো তেমন কিছু নেই। যেরকম সাসপেন্স-থ্রিল বিল্ডাপ করলো সেই রহস্যটাই উন্মোচন হলোনা, যা ব্যর্থতা। এজন এস্ট্রোনট স্পেসে গেলো তার বাবার সাথে দেখা করলো আর কাজ মিটিয়ে চলে এলো মাঝে আননেসেসারি একশন। 
    পুরো সিনেমায় রয়েছে সবার মনমরা ভাব। দুঃখময়তা। সিনেমাটা এক সরলরেখার হেঁটেছে কেবল , একটা ভালো গল্প বা টুইস্ট এমনকি শেষে পুরো ব্যাপারটা বোঝালেও হয়তো দাঁড়াতো কিন্তু কিছুই হয়নি। ব্যাপারটা এরম যে একজন জন্মালো, বড়ো হলো, পড়াশোনা করলো, বিয়ে করলো তারপর বাচ্চা হলো তারপর বুড়ো হয়ে মরে গেলো। 
     এভারেজ অর বিলো এভারেজ কিন্তু স্পেশ কে ভীষন ভালো করে দেখিয়েছে। VFX দুর্দান্ত  আর কয়েকটা সিন দারুন শুট করা হয়েছে যেগুলো ভালো লাগবে। 
     কিছু কোয়েটস আছে যেগুলো মন ছুঁয়ে যাবে অর এটাই প্রাপ্য এই সিনেমা থেকে।

Tuesday 21 April 2020

Jojo Rabbit...

     সিনেমা আমাদের অনেককিছুই শেখায়, অনেকক্ষেত্রে অনেকের জীবনের কথা এমনভাবে তুলে ধরে যা স্বাভাবিকভাবে বুঝতে পারতাম না কিন্তু উপস্থাপনার কারনে রিলেট করতে পারি যাকে বলে চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো। 

     আমাকে কেও সিনেমা কেমন নিয়ে জানতে চাইলে ভালো-খারাপ বলে থাকি, এখানে আমার পছন্দটাই প্রায়রিটি পায় মানে আমার পছন্দের Genre, টাইপ ইত্যাদি কিন্তু এরমানে এই নয়যে কোনো সিনেমার গল্প ভালো না হলে বা স্ট্রেট হলে সিনেমা খারাপ যেমন ১৯১৭ সিনেমাটা। সাধারন-স্ট্রেট গল্প কিন্তু দারুন কারন ? কারন সিনেমায় ক্যাটেগরি বলে কিছু জিনিস আছে যেমন খাবারেও থাকে। ঝাল, নোনতা, মিষ্টি আবার মিষ্টির ভাগ আছে, তেমনই।
    আমি ভাবছিলাম অস্কার পাওয়া সিনেমা ভালো হবে মনে হয়। কিন্তু কিছুক্ষনপর বোরিং লাগছিলো। কিন্তু কোনো সিনেমা বা সিরিজ শুরু করলে আমি শেষ না করে ছাড়িনা। শেষে মনে হলো না একটা সত্যি ক্লাসিক সিনেমা দেখলাম আর তাতে একটি বাচ্চা কাঁপিয়ে গেলো। আমি জানিনা কার কেমন লাগবে তবে আমার মনকে ভীষন তৃপ্তি দিয়েছে সিনেমাটা। অস্কার পাওয়ার মতো সিনেমা কিনা জানিনা তবে মেটাফোর আর স্যাটায়ার এর মিশ্রনে তৈরি একটা ক্লাসিক সিনেমা এটা।
     Jojo এর অভিনয় যে বাচ্চাটা করেছে তাকে নিয়ে বলার ভাষা আমার নেই। হাসির কিন্তু মন খারাপ করে দেবে ছেলেটার জন্য।
   Scarlett Johansson কে মার্ভেল সেক্স সিম্বল হিসেবে দেখিয়েছে কিন্ত উনি জাত চিনিয়েছেন Marriage story সিনেমায়। এখানে অল্প সময়ে যথেষ্ট ভালো অভিনয় করেছেন। ভীষন ইন্টারেস্টিং চরিত্র। ওনার চরিত্রটা আমাদের সকলের মনের বিদ্রোহী দিকটা তুলে ধরেছে।
      Captain এর চরিত্রটা আমার সবচেয়ে প্রিয়, বরাবরই, ট্রাজিক হিরো। এনারা হলেন তারা যারা সমাজে কিভাবে টিকে থাকতে হয় জানেন কিন্তু ভিতরে বিরক্ত, নিজেকে চেপে রাখে কিন্তু যখন ডিলেমায় পরেন তখন ঠিকটা বেছে নিয়ে ট্রাজিক হিরো হয়ে ওঠে, এদের নাম কোথাও লেখা থাকেনা।
     ইহুদি মেয়েটির চরিত্র আমার কাছে সিম্বলিক লেগেছে, স্বাধীনতার ঠিক যেমন জোজোর মায়ের চরিত্রটা।
       হয়তো অনেকের সিনেমাটা ভালোলাগবেনা তা সত্ত্বেও আমি এটা ভালো সিনেমা হিসেবে সাজেস্ট করবো কারন এটা ভালো সিনেমাই। হিটলারের সমসাময়িক এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই সিনেমাটি ওয়ান অবদি বেস্ট স্যাটায়ার।
     সিনেমাটা অস্কার পেয়েছে Best Adapted Screenplay ক্যাটাগরিতে।
      ৭.৯ অন IMBD, ৭৯% অন Rotten Tomatoes, ৪.৮ অন Facebook.

Two iconic moments from the movie.


Monday 20 April 2020

The Lone Ranger...

ওয়ান অব দ্যি আন্ডাররেটেড ফিল্ম। সিনেমার গল্প খুব‌ই সাধারন যেমন হিন্দি সিনেমায় হয়কি, ভালো মানুষদের উপর খারাপদের অত্যাচার আর হিরো এর এন্ট্রি। তবে সিনেমাটা সাধারন হয়েও সাধারন নয় কারন এখানে হাসি মুখে তামাশা মারা হয়েছে, তামাশা মারা হয়েছে উপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে, গায়ের রঙের বিবেচনার বিরুদ্ধে, যেভাবে আদিবাসীদের এলাকা দখল করা হয় নিজেদের স্বার্থে, সেসবের বিরুদ্ধে। 
জানিনা কেনো সব জায়গায় এর রেটিং এতো কম কিন্তু দুজন মানুষ সিনেমার মেরুদন্ডের কাজ করেছেন। একজন সাইড চরিত্র অভিনয় করেছেন সিনেমায় Jhonny Depp এবং আরেকজন তার মেকাপ আর্টিস্ট।
   Jhonny Depp নিজেকে চরিত্র এর জন্য যেভাবে পাল্টাতে পারে সেরম একমাত্র Christian Bale ও  Joaquim Pheonix কে দেখেছি। যেকোনো চরিত্র করতে পারে। 
   গেস্ট এপিয়ারেন্স হিসেবে Helena Bonham(HP এর Bellatrix Lestrange) যা অভিনয় করে গেছেন তাতে যে কেও মুগ্ধ হয়ে যাবে, একদম ক্ষনিকের চরিত্র কিন্তু এককথায় ফারু।
      দেখে ভালোই লাগবে সবার আশা করছি।

SH.. William Sherlock Scott Holmes.

সৌরভ না ধোনী? রোনাল্ডো না মেসি? বন্ড না শার্লক?
   যতোদিন সময় বহমান থাকবে ততদিন তুলনা থাকবেই কেও বায়াসডনেস থেকে তুলনা করবে কেও স্ট্যাস্টিটাক্স দেখে কেও বা গুন দেখে ফেভারিট বেছে নেবে।
    বন্ড, জেমস বন্ড হলেন সেইরকম ডিটেকটিভ যিনি কিনা শেহ‌ওয়াগ টাইপের ব্যাটসম্যান মানে শুরু থেকেই মারকাটারি ব্যাপার। গোয়েন্দা ব্যাপারের থেকেও বেশি প্রাধান্য পায় একশনগুলি। এক এক জনের এক এক ধরন যা হয়। যেমন বক্সীবাবু মারকাটারি ব্যাপারটা কম‌ই করতেন কিন্তু বুদ্ধির খেলায় তিনি আবার ভীষন স্বচ্ছল তেমনি হলেন শার্লক হোমস। তিনি লড়াইটা ভালোই জানলেও আসল অস্ত্র ওনার মগজ।
     ডিটেকটিভ লাইনে ব‌ই অনুযায়ী দু-ধরনের ডিটেকটিভ রয়েছে এক বক্সী/শার্লক-বুদ্ধি প্রায়‌ওরিটি বেশি পায় আর আরেক ধরনের হলো ফেলুদা/জেমস বন্ড-একশন বেশি প্রায়‌ওরিটি পায়।
    আর প্রবাদ আছে "Intelligence is sexy" তাই আমার কাছে বক্সী/শার্লক প্রিয় বেশি।
   রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে যদি কোনো খাবার ভীষন ভালো লেগে যায় তাহলে তারপর কোনো খাবার যদি কিছুটা কম খারাপ হয় তাহলে সেটাকে বাজে মনে হবে। এটা বলার কারন ধরুন কেও R.Downey jr.  কে Iron Man  সিনেমায় দেখছে, এখানে কিন্ত অভিনয় সেরম কিছু নেই, রয়েছে SWAG, এটিটিউড আর ডোন্ট কেয়ার যেটা হলো Iron man  এর আসল চরিত্র এই জন্য ওনাকে দারুণ মানিয়েছে। এবার ওনাকেই আবার Sherlock Holmes সিনেমায় দেখুন, অভিনয়ে জানেন সেটা কেবল প্রমান‌ই করেননি উপরন্তু দেখিয়েছেন যে Iron man এটিটিউড থেকে বেরিয়ে অন্য ধরনের কঠিন চরিত্র করতেও পারেন। RDJ এর অভিনীত Sherlock Holmes সিনেমা দুটিই খুব ভালো লাগবে( আমার সেকেন্ড পার্টটা বেশি পছন্দ)। এর পরে যদি কেও Benedict এঁর Sherlock Holmes সিরিজটা দেখে থাকে( শুধু সিজন ১ নয়) তাহলে তখন সবার Benedict এঁর শার্লক চরিত্র টা বেশী ভালো লাগবে। ব‌ইয়ে যেমন বর্ননা করা হয়েছে তার সাথে Benedict এর মিল অনেকবেশি উপরন্তু চোখ বেশি বুদ্ধিদীপ্ত লেগেছে( সেটা সিজন ২ থেকে)। দুজনেই কিন্তু দারুন। আমি দুজনকেই সমানে রাখবো সেটা আমার কিছুটা বায়াসডনেস এর জন্য। তাবলে ফ্যাক্টকে এড়ানো যায়না।  এবার যদি Jeremy Brett এর Sherlock Holmes দেখে কেও তাহলে এনারটাই সবচেয়ে ভালো লাগবে এটিটিউডের কারনে( মাত্র একটা সিনেমা দেখেও)। 
     এবার যদি উল্টো সিকোয়েন্সে Sherlock Holmes দেখা হয় মানে প্রথমে Jeremy Brett এর তারপর Benedict তারপর RDJ এর শার্লক হোমস তাহলে হয়তো Benedict ও RDJ এর শার্লক ভালো নাও লাগতে পারে আর কারন আগেই বলেছি।
     জোয়াকিম ফিনিক্স না হেথ লেজার ? এক্ষেত্রেও এক‌ই। 
  এবার আসি SH এর সিরিজ নিয়ে...
   সিজন ১ ভীষন‌ই বোরিং যে কারনে আমি সিজন ১ বাদে বাকি গুলো রিপিট করলাম। কিন্তু সিজন ২ থেকে একের পর এক চমক, সাসপেন্স, থ্রিলিং, নার্ভ সবসময় উত্তেজিত থাকবে। আর সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং হলো পর পর টুইস্ট। 
    ক্রাইম-থ্রিলার-সাসপেন্স এই genre এর ওয়ান অব দি বেস্ট ক্রিয়েশন।  যারা মাইন্ড ব্লোয়িং, টুইস্ট এই জাতীয় সিনেমা পছন্দ করেন তারা এই সিরিজটা দেখুন কারন এক একটা এপিসোড এক একটা সিনেমার মতোন এতে অনেকটা টাইম ওকুপাইড থাকা যাবে। তবে সিরিজটা এক একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট মতো হলেও পর পর এপিসোড অনুযায়ী সিরিজটা দেখা উচিত। দেখে বোর হবেননা এবং এটা ওর্দিও। ৪ টি সিজন আর মোট ১৩ টা এপিসোড (১ টা এস্পেশাল) । প্রতিটা এপিসোড এপ্রক্সিমেটলি ১২৫ মিনিট মতো।
   আর এটার এস্পেশ্যালিটি হলো এই সিরিজটার টাইমিং হলো বর্তমান সময়ের মানে যেখানে সব আধুনিক, এন্ড্রয়েড ফোন রয়েছে, হ্যাকিং হয়। বাকি সিনেমাগুলোর মতো লিখিত ব‌ইয়ের সমসাময়িক নয়।
     ৯.১ অন IMDB, 8.9 অন TV.com.

One of the best line from the series.

Thursday 16 April 2020

Made in heaven...

      আমাদের সমাজে কেও যদি বলে তার কোনো পরিচিত সমকামী তাহলে সবাই রে রে করে উঠবে কিন্তু যখন কারন জিজ্ঞেস করা হবে তখন তোতলাবে। যাইহোক এটা কেবল কোনো সমকামীদের নিয়ে সিরিজ নয় এটা এমন একটা সিরিজ যেটা ভীষন প্রাক্টিক্যাল আর প্রত্যেকের পারসপেকটিভ ভিউ তুলে ধরেছে। ভিউ তুলে ধরেছে মানে সেটাকে জাস্টিফাই করে দিয়েছে সেটা নয়, যেটা ওয়েল প্ল্যানড, ঠান্ডা মাথায় করা হয় তখন তার জাস্টিফিকেশন থাকেনা। কিন্তু কেনো মানুষ ওরকম করে, তার বিল্ড আপ, সোসিও-ইকোনম্যিক্যাল এসপেক্ট কতটা তাকে ওটা করতে বাধ্য করে, তা তুলে ধরেছে। 
    প্রথমত এটায় একাধিক গল্প রয়েছে আর একাধিক ইস্যু তুলে ধরেছে, এবার আমরা তো ইস্যু গুলো জানিই তাহলে এস্পেশ্যালিটি কী?
    কোনো একটা পার্টিকুলার সিনেমা কিংবা সিরিজ এতগুলো ব্যাপার একসঙ্গে প্যারালালি আর টু দ্যি পয়েন্ট তুলে ধরেছে বা পেরেছে এরম মাথায় আসছেনা। 
    এবার কেও যদি বলে মানুষ ভুল করে কারন মানুষ বলেই তা বলে ক্ষমা করা যায়না কিংবা আমি যদি Adil( Tara's Husband) এর জায়গায় থাকি (বা ভায়েস ভার্সা-তারার জয়গায়) তাহলে কি করবো? এইসব আলোচনা সাপেক্ষ তবে আমি মনে করি মুখে সরি বলে বা চাপে সরি বলে কিছু হয়না। যখন মন থেকে অনুশোচনা হবে আর সেটা একদিন না একদিন হবেই তখন সে শাপমুক্ত হয় যদিও তাকে ক্ষমা করলেও নিজের পাপবোধ কখন‌ই যাবেনা। আর আমার এই কথা গুলো তখন‌ই বুঝতে পারবে যখন কেও সিরিজটা দেখবে। আমি দুটো বিষয়ে আপাতত বললাম ঘটনাগুলো উল্লেখ না করে।
   এখানে কিভাবে একজন সত্যি পোগ্রেসিভ ছেলে তার প্রেমিকার অতীত কে ইগনোর করে তাকে একসেপ্ট করে, কিভাবে অল্প বয়সি মেয়েরা যারা ফ্যান্টাসি করে কিন্তু ইমোশনে সত্যি ভালোবেসে ফেলে, লাভ বিওন্ড এজ এবং তাদের সন্তানদের মাইন্ড চেনজিং, সমকামীদের সাপ্রেসড থাকা,  হিউম্যানিটি বিওন্ড বিজনেস, রাষ্ট্রর শোষন, "সো কলড্" পোগ্রেসিভ ফ্যামিলি, "সো কলড্" পোগ্রেসিভ মহিলা যিনি পাইলট আর ফেমিনিস্ট কিন্তু তার‌ই বিয়েতে মোলেস্টেড হ‌ওয়া মেয়েকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করানো, ছেলের সমষ্যার কারনে আনসাকসেসফুল বিয়ের পর বৌয়ের নামে দোষ চাপানো, লোকে কি বলবে তার ভয়ে নপুংসপক স্বামীকে বাধ্য হয়ে গ্রহন করা এবং পলিটিক্যাল লিডারের আসল মুখ( যেমন হয় আরকি) খসে পরা এতো ভালো দেখেয়িছে যেটা আমরা কেও ইগনোর করতে পারবোনা সে যত‌ই এই ইস্যু গুলো আমরা জেনে থাকিনা কেনো। আসলে সমাজের অন্তঃসারশূন্য অবস্থাটা এক্সরে করে দেখিয়ে দিয়েছে। 
   আগেই বলেছি সমাজের কারনে মানুষ কিছু করলেও সেটা জাস্টিফাইড নয় কিন্তু যে মানসিকতা থেকে সেটা হয় আর তার ডিলেমা, তা ইগনোর করা যায়না। কোনো মানুষের বড়ো/উপরের ওঠার ইচ্ছার জন্য যেমন বাজে ঘটনা মানা যায়না তেমনি তার সেরম হতে চাওয়ার সামাজিক কারন‌ও ইগনোরড হয়না। 
   ভালো খারাপ এখানে আপেক্ষিক যেটা আমাদের সকলের সাথে জড়িত। একটা অত্যন্ত ভালো মহিলা কিন্তু ওপরে ওঠার জন্য গোল্ডডিগার, এক একজনের কাছে এক এক রকম। 
       এই ধরনের কনসেপ্ট, সিরিজ হিসেবে আমার পছন্দের নয় কিন্তু এই সিরিজটা ভালো। 
      প্রত্যেকে অভিনয় দারুণ করেছে একমাত্র জাসপ্রীত এর রোলটা যে করেছে সে বাদে। তারার অভিনয় যিনি করেছেন তিনি জাস্ট অসাধারন, পিওর ক্লাস অভিনয় করেছেন। পারফেক্ট। কালকিকে আমার কোনো কালেই ভালোলাগেনা কেনো জানিনা আর করনের চরিত্রটা ন্যাচারাল মনে হয়েছে। করন কে কোথাও গিয়ে অনিচ্ছাকৃত পার্ভার্ট দেখিয়ে ফেলা হয়েছে, আমার তাই মনে হলো য‌ত‌ই তার দুঃখ থাকুক বা জাস্টিফিকেশন কিংবা মিউচুয়াল কনসেন্ট থাকুক। কবীর এর রোলটা আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় আসলে তার কারন কবীরের দেখার ভঙ্গিটা।
ডালিপ তাহিলের মতো হেবি ওয়েট ক্যারেক্টরর, আদিলের বাবা হিসেবে দেখানো কোনো দরকার ছিলোনা, কম নাম‌ওয়ালা কেও হলে আমার মনে হয় ওই রোলটা বেশি ভালো হতো যদিও উনি অভিনয় ভালোই করেছেন।
    যারা জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি, ফেমিনিজম, সামাজিক সমষ্যাগুলি নিয়ে কাজ করে তাদের জন্য মাস্ট ওয়াচতো বটেই, টিনেজার এবং সকলের‌ই দেখা উচিত আর শেখা উচিত।

Season 1 consists 9 episodes and each episode runs approximately 50 minutes.

Read the lines from the images.